সড়কের অর্ধেকজুড়ে ট্রাকের দীর্ঘ সারি, প্রথম দেখায় মনে হবে এটি ট্রাকের অস্থায়ী গ্যারেজ। আসলে এটি কোনো গ্যারেজ না; অবৈধভাবে সড়ক দখল করে এভাবেই প্রতিদিন ট্রাক রাখা হয়।
দৃশ্যটি ঈশ্বরদীতে ঢুকতেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ আলহাজ মোড় গোলচত্বরের। এক-দুই দিনের নয়; দৃশ্যটি নিত্যদিনের। ঈশ্বরদী-পাকশীর এ ব্যস্ততম রাস্তায় প্রতিদিন শত শত ইজিবাইক, মোটরসাইকেলের পাশাপাশি চলে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে কর্মরত শতাধিক মিনিবাস ও মাইক্রো। আলহাজ মোড় চত্বরে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের এ দীর্ঘ সারি ভোগান্তিতে ফেলেছে এ পথে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকদের।
রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত মিনিবাসচালক হাবিবুর রহমান জানান, ১০ ফুটের রাস্তার অর্ধেক ট্রাকের দীর্ঘ সারি, বাকি অর্ধেক রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় আমাদের। মিনি বাসগুলো ঘোরাতে বেশি জায়গার দরকার হয়। অথচ রাস্তার ওপর ট্রাক থাকার কারণে গাড়ি ঘোরাতে কষ্ট হয়।
এ পথের ইজিবাইকচালক রতন জানান, সড়কে ট্রাকের দীর্ঘ সারির জন্য অপরদিক থেকে আসা গাড়িগুলোও ভালোভাবে দেখা যায় না, এ জন্য অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা ট্রাক ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন (ঈশ্বরদী আঞ্চলিক শাখার) সদস্য ও পৌর ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইউসুফ আলী বলেন, ঈশ্বরদীতে ট্রাক রাখার কোনো নির্দিষ্ট টার্মিনাল নেই। এ জন্য ড্রাইভাররা যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং করে। তবে রাস্তার ওপর গাড়ি পার্কিং করে দীর্ঘ সময় রাখা খুবই অন্যায়; কারণ এর ফলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা ড্রাইভারদের গাড়ি রাখার বিষয়ে সতর্ক করব। তবে ট্রাক রাখার জন্য নির্দিষ্ট টার্মিনাল হলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে বলে মনে করেন এ শ্রমিক নেতা।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী ট্রাফিক ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, রাস্তার ওপর দীর্ঘক্ষণ পার্কিং করে রাখা অপরাধ। আলহাজ মোড় একটি গুরুত্বপূণ স্থান। তাই যে কোনো দুর্ঘটনা এড়াতে শিগগিরই এ বিষয়ে আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।